Header Ads

Header ADS

বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগীতার ইতিহাস

 

বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতা, যা সাধারণত "মিস ওয়ার্ল্ড" নামে পরিচিত, ১৯৫১ সালে এর সূচনা হয়েছিল। এটি একজন ব্রিটিশ টেলিভিশন উপস্থাপক এরিক মোরলি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। এই প্রতিযোগিতা বিশ্বের অন্যতম পুরোনো এবং সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সুন্দরী প্রতিযোগিতা হিসাবে বিবেচিত।

প্রতিষ্ঠা ও প্রাথমিক বছরসমূহ

১৯৫১ সালে প্রতিষ্ঠা: প্রথম মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতা লন্ডনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট ২৬ জন প্রতিযোগী অংশ নেয়। প্রথম মিস ওয়ার্ল্ড বিজয়ী ছিলেন সুইডেনের কিকি হাকানসন।

প্রতিযোগিতার লক্ষ্য: প্রথমে এটি একটি বিকিনি প্রতিযোগিতা হিসাবে শুরু হয়েছিল, যা অনেক বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল। পরবর্তীতে এটি একটি সুন্দরী প্রতিযোগিতায় রূপান্তরিত হয়।

পরিবর্তন ও সম্প্রসারণ

১৯৫৯ সালে: বিবিসি টেলিভিশন এই প্রতিযোগিতা সরাসরি সম্প্রচার করতে শুরু করে, যা এর জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে তোলে।

১৯৭০ সালের পরিবর্তন: বিকিনি নিষিদ্ধ করা হয় এবং এটি আরও সংবেদনশীল ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল প্রতিযোগিতায় রূপান্তরিত হয়।

মিস ওয়ার্ল্ডের মূল মাইলফলক

১৯৮০-এর দশকে: মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিযোগীদের আকর্ষণ করতে থাকে। এর জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়।

২০০০ সালের পরে: প্রতিযোগিতা আরও সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রমে জড়িত হয় এবং "বিউটি উইথ আ পারপাস" (উদ্দেশ্যমূলক সৌন্দর্য) থিমের ওপর জোর দেয়।

উল্লেখযোগ্য বিজয়ীরা

১৯৯৪ সালে: ভারতের ঐশ্বরিয়া রাই মিস ওয়ার্ল্ড বিজয়ী হন, যা তাকে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক পরিচিতি দেয়।

২০০০ সালে: আবারও ভারতের প্রিয়াঙ্কা চোপড়া মিস ওয়ার্ল্ড শিরোপা অর্জন করেন।

সাম্প্রতিক প্রতিযোগিতা

বর্তমানে মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতা প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয় এবং এতে প্রায় ১২০ টিরও বেশি দেশের প্রতিযোগীরা অংশ নেয়। এটি শুধুমাত্র সৌন্দর্যের নয়, বরং প্রতিযোগীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, ব্যক্তিত্ব এবং সমাজসেবামূলক কাজেরও মূল্যায়ন করে।

উপসংহার

মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতা বিশ্বজুড়ে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার একটি প্রতীক হয়ে উঠেছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্কৃতি ও জাতির মেয়েরা নিজেদের প্রতিভা ও দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ পায় এবং সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.